ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২০২ টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সহ ট্রাক চুরির ঘটনায় মালামালসহ চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক ও মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাবুদ্দীন কবীর।
সংবাদ সম্মেলনে শাহাবুদ্দীন কবীর জানান, গত ১৭/০১/২২ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৩ টার সময় কেরাণীগঞ্জ থানাধীন রুহিতপুর বাজারে হাজী মোঃ বদিউল আলমের (৫৩), আলম এন্টারপ্রাইজ নামে এলপিজি গ্যাসের অফিস এবং গোডাউনের সামনে থেকে তার TATA 407 ট্রাক(ঢাকা মেট্রো ন- ১৫-৪৯৭৪) এবং উক্ত ট্রাকে থাকা ২০২ (দুইশত দুই) টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সহ চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজারে মূল্য ১৯,৭১,৪০০/- (উনিশ লক্ষ একাত্তর হাজার) টাকা।
এই বিষয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় বদিউল আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮/০১/২০২২ তারিখে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৩৮।
এবং মামলাটির তদন্তভার এসআই (নিরস্ত্র) এম ইমরান হোসাইন এর উপর অর্পন করা হয়।
এরপরে এসআই (নিরস্ত্র) এম ইমরান হোসাইন, পুলিশ সুপার ঢাকা জনাব মোঃ মারুফ হোসেন সরদার, বিপিএম, পিপিএম মহোদয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ (দক্ষিণ) জনাব মোঃ হুমায়ুন কবিরদ্বয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কেরাণীগঞ্জ সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শাহাবুদ্দীন কবীর বিপিএম, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আৰু ছালাম মিয়া, পিপিএম এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক গণের দিক নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উক্ত চুরির ঘটনায় জড়িত আসামীদের সনাক্ত সহ তাদের সম্ভাব্য অবস্থান নির্ণয় পূর্বক একাধিক সোর্সের সহযোগিতায় ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা ০৩ দিন অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা হয় এবং আন্তঃজেলা চোর চক্রের ০৩ সদস্য ১। বুদ্ধিশ্বর বিশ্বাস (৫২), পিতা- মুক্ত গয়নায় বিশ্বাস, মাতা- পারুল বিশ্বাস, সাং- কাপুড়া, পোষ্টঃ কাপুড়া, মোঃ জাহিদ মিয়া (৩৭), পিতা- মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া, মাতা- শামসুন্নাহার বেগম, সাং- চকবাজার, তা চাঁন মিয়া বেপারী (৫০), পিতা- মৃত শফিক উদ্দিন বেপারী, মাতা- আমেনা বেগম, সাং- সমেশপুর, পোঃ তাম্বুলখানা, সর্ব থানা কোতয়ালী, জেলা ফরিদপুরদের গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের হেফাজত হতে অত্র মামলার ঘটনায় চুরি যাওয়া TATA 407 ট্রাক, এবং উক্ত ট্রাকে থাকা ২১ (একুশ) টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার এবং চোরাইকৃত মালামাল অন্যত্র স্থানান্তর এর কাজে ব্যবহৃত অপর আরেকটি ট্রাক এবং ট্রাকে থাকা চুরি যাওয়া ১৮১ (একশত একাশি) টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সহ বাদীর চুরি যাওয়া ট্রাক সহ সকল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১৯,৭১,৪০০/ উনিশ লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত অপর আরেকটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়, যাহার মূল্য অনুমান ১২,০০,০০০/ (বার লক্ষ) টাকা।
এ ঘটনার সহিত জড়িত অপরাপর আসামীদের সনাক্ত সহ গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে বলে আরো জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।