ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোরবানী পশুর অস্থায়ী হাট শেষে হাটগুলোর বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সরাসরি বুড়িগঙ্গা নদীতে। এতে করে বাড়ছে নদী দূষন, নষ্ট হচ্ছে নদী ও চারপাশের পরিবেশ। কোন ধরনের জবাবদিহিতা না থাকায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরা হাসনাবাদ ও আগানগর হাটের ময়লা প্রতিবছর ই এইভাবে সরাসরি বুড়িগঙ্গা নদীতেই ফালায় অস্থায়ী হাটের ইজারাদাররা।
সরেজমিন কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা তীরের জিনজিরা থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, হাটের বর্জ্য পড়ে আছে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় এবং নদীর পানিতেও ভাসছে হাটের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য। এতে অনেক জায়গায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। বর্জ্য এভাবে ফেলে রাখার কারনে একদিকে যেমন নদী পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে তেমনি দুর্ভোগে পড়ছে পুরো এলাকাবাসী। হাটের বর্জ্যে নদীর তীরে বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হয়েছে আবর্জনার স্তুপ। কিছুদিন আগেই বর্ষায় পানি পরিবর্তন হতে শুরু করেছিলো। প্রান ফিরে পেয়েছিলো বুড়িগঙ্গা। হাটের বর্জ্য ফেলে আবারো যেন নষ্ট করা হচ্ছে বুড়িগঙ্গার পানিকে।
বুড়িগঙ্গার কেরানীগঞ্জ তীরের একাধিক খেয়া ঘাটের কয়েকজন মাঝিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাট আসলে প্রতিবছর ই হাট শেষে এভাবে নদীতে হাটের ময়লা পড়ে থাকে, এতে করে দুর্গন্ধে দুর্ভোগে পড়তে হয় মাঝিদের ও নদী দিয়ে পাড়াপাড় হওয়া যাত্রীদের।
নৌকা দিয়ে পাড়াপাড় হওয়া মো: আলম নামে এক যাত্রী জানান, প্রতি বছর ই এমন টা দেখি। হাটের পড়ে হাটের কিছু বর্জ্য পড়ে থাকে নদীতে। ইজারাদারদের এমনটা করা উচিত না। কারন বুড়িগঙ্গা আমাদের ঢাকার প্রান। এই বর্জ্যগুলো নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট একটা স্থানে ফেলে পুড়িয়ে ফেললে পরিবেশ সুন্দর থাকতো। আমাদের ও দুর্ভোগ হতো না।
মো: সালাম নামে অপর একজন জানান, আসলে ইজারদারদের কোন জবাবদিতিতা না থাকায় তারা যা খুশি তা করে। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে একটু কঠোর হতো, আর ইজাদাররা যদি একটু সচেতন হতো তা হলে রক্ষা পেত আমাদের বুড়িগঙ্গা। এমনিতেই বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ এখন হুমকির মুখে একটু একটু করে নষ্ট হচ্ছে বুড়িগঙ্গা। তার উপর হাট আসলে যেন বুড়িগঙ্গার পরিবেশ আরো খারাপ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হলে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, হাট কেন নদী বা নদীর তীরে কোন ধরনের ময়লা ফালানোর সুযোগ কারো নেই। অস্থায়ী হাটের ময়লা নদীর তীরে ফালানো হচ্ছে বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম । এখন ই আমি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করছি।#