কেরানীগঞ্জে সুজন বাহিনীর ভয়ে চার বছর এলাকা ছেড়ে থাকছেন বলে অভিযোগ বীর মুক্তিযোদ্ধার

কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নে কান্দাপাড়া গ্রামে সুজন বাহিনীর ভয়ে প্রায় চার বছর নিজের বাপ দাদার বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে নারায়নগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন সুবিদ আলী (৭৫) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা।

সুবিদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমাকে আমার বসত ভিটা থেকে উতখাত করে আমার জায়গা দখল করার জন্য সুজন বাহিনী আমাকেসহ দু’ই ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্য এই পর্যন্ত চারবার হামলা করছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশকে একাধিক বার জানানো হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নি। উল্টো সুজনের কাছে ম্যানেজ হয়ে আমার বিপক্ষে কাজ করেছে। এমনকি আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
সুবেদ আলী আরো বলেন, সুজন এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে। আমি তাতে বাধা দেয়ায় মূলত সে আমার সাথে শত্রুতা শুরু করে এবং আমাকে এলাকা থেকে উতখাত করার পরিকল্পনা করে।

২০১৬ সালে একদিন হঠাৎ রাত ১টায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত একদল  বাহিনী নিয়ে সুজন আমার বাসায় আমি ও আমার ছেলেদেও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।  মোকাবেলা করতে আমার দুই ছেলের চিৎকারে এলাকাবাসী চলে আসে ।পরে তারা বোমা ফাটিয়ে চলে যায়। সেই রাতে আমি ততকালীন থানার ওসিকে ফোন করে জানাই। তিনি পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করে আমাকে জানায়, ভাই আপনার আর এলাকায় থাকার প্রয়োজন নেই।

সুবেদ আলী আরো জানান, কান্দাপাড়া গ্রামে আমার প্রায় ৪০ বিঘা জমি রয়েছে। কিছু জমি বসুন্ধরার ভিতর চলে যাওয়ায় আমি তাদের কাছে এ্যাওয়াজ বদল ও কিছু জমি বিক্রি করেছি। সুজন আমার নিজ জমির প্রায় ৩ কোটি টাকার মাটি  বিক্রি করেছে।
এ ব্যাপারে আমি বার বার প্রতিবাদ জানালে আবারো ২০১৮ সালে আমি ও আমার ছেলের উপর হামলা চালিয়েছে। সেই দিন আমি নিজ পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে নারায়নগঞ্জে ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠি।

সর্বশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুজন কান্দা পাড়া আমার একটি পৈত্রিক স্থাপনায় ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আমি থানায় ওসি সাহেব কে কল দিলে সে ফোন রিসিভ করে নি। বাধ্য হয়ে আমি ৯৯৯ এ কল দেই। পরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা থেকে অজয় নামে এক এস আই এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বড়াবড়, আমার সম্পত্তি রক্ষায় ও নিরাপত্তা চেয়ে দেশের একজন নাগরিক হিসাবে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আবেদন করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজন বলেন, উনার অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা , ওটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। গত ১৬ তারিখে বিল্ডিংটা পুরাতন হয়ে যাওয়ায় আমি ভাঙতে গেলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। এই জায়গাটি উনি দাবী করে উনার, বসুন্ধরা দাবী করে তাদের। আমার ও দাবী এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। কয়েক দিনের ভিতর স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে আপাতত আমার কাজ বন্ধ রয়েছে।

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এস আই অজয় গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসলেও, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে কেও আমাকে জানায় নি। #

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

হুমায়ূন আহমেদের গল্প-স্মৃতি ‘কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে’

এই নন্দিত লেখকের বই পড়েননি, কিংবা তাঁর টেলিভিশন নাটক দেখেননি- বাংলাদেশে কিংবা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে …

error: Content is protected !!