রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জে সিজারের সময় সুমি আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কদমতলী এলাকায় মেরী স্টোপস ক্লিনিকে রবিবার রাত ১০ টার সময়। নিহতের পরিবারের দাবী ভুল চিকিৎসার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সুমির স্বামী মো: শরীফ বলেন, চিকিৎসার জন্য রবিবার সকাল ১১টার দিকে সুমিকে জরুরী ভাবে মেরিস্টোপস ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর জরুরীভাবে সিজার করতে হবে বলে জানান কতৃপক্ষ। যদিও আরো ৪দিন পরে সিজার করার কথা ছিলো। দুপুর ৩ টার সময় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন হাসপাতালের ডা: সাজেদা খাতুন ও এনেথেসিয়া ডা: মনির হোসেন। কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই তারা রোগীর শরীরে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন দিয়ে সিজার করেন। এতে দুটি সুস্থ জমজ বাচ্চার জন্ম হলেও সুমির প্রচন্ড রক্তক্ষরন শুরু হয়ে শারীরিক অবনতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে গেলে তাকে মিটফোর্ড হাসপতালে রেফার করা হয়। মিডফোর্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার সুমিকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
মো: শরীফ আরো বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার অপারেশনের পূর্বে আমার পরিবারের কোন সদস্য কে না জানিয়ে অপারেশন করেছেন। অপরেশন করানোর জন্য আমাদের কোন লিখিত অনুমতিও তারা নেই নি। আমার স্ত্রীর অন্য কোন শারীরিক সমস্যা ছিলো না। সিজারের সময় ভুল ভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। তখনই আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন । বিষয় টিকে ডাক্তার লুকিয়ে রেছে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এসব বিষয় জানতে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার ফাতেমাতুজ জোহরা মুক্তা প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে জানান, এই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা নাই তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয় । তিনি আরো বলেন, রোগী সেখানেই মারা যায়। তবে মিডফোর্ড হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, রোগী আগেই মারা গেছে।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।#