ঢাকার কেরানীগঞ্জে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর ৩ মাস ১২ দিন পর কবর থেকে সানজু(৩২) নামে এক যুবকের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। ১৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা ১২ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশ তুলে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত সানজু হাসনাবাদ বেপারী বাড়ি এলাকার শাহজাহান বাদশার ছেলে। সে বিদেশ থেকে লেখা পড়া শেষ করে বাবার ব্যবসার দেখাশুনা করতো।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুন সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে রাত অনুমান ১ টার সময় টিকাটুলী পেট্রোল পাম্প হইতে সায়েদাবাদ যাওয়ার সময় ওয়ারী থানাধীন চিটুমী র্যাব -৩ কার্যালয়ের পূর্ব পাশে ফ্লাইওভারের নিচে তার বাইকের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশের ফুটপাতের বিটের সাথে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাথায় গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয় যার ফলে সাজনুর নাক রক্তক্ষরনের ফলে মৃত্যু হয়।
তবে মামলার বাদী ও নিহতের বাবার শাহজাহান বাদশা জানান, গত ৬ জুন সন্ধ্যা সংবাদ পাই যে, আমার সন্তান আবির হোসেন সানজু ওয়ারী পেট্রোল পাম্প-সায়েদাবাদ যাওয়া পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। পরে তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা হাসপাতালের মর্গে সন্তানকে সনাক্ত করি। বিবাদীর যোগসাজশে হাসপাতালে পোষ্ট মর্টেম নির্ণয় ছাড়াই কবরে দাফন দেন। তিনি আরও জানান যে, প্রথমে তিনি ভাই-ভাতিজাদের কথা শুনে এটিকে বাইক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ভেবেই নিজেরা ছেলেকে কবরস্থ করেন। পরে তাদের কথাবার্তায় ও মৃত্যুর আলামতে দেখে তার বুঝতে বাকি থাকেনা যে এটি পরিলক্ষিত হত্যাকান্ড। সম্পত্তির অবৈধভাবে গ্রাস ও ভোগ দখল করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার এক মাত্র ছেলে সন্তান কে হত্যা করা হয়েছে। আমাকে ওয়ারিশ শূন্য করার জন্য ওয়াসিম, টুটুল, শামসুজ্জামান, মিজানুর রহমান, হামিদা বেগম ও রিয়াদ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার সন্তান কে হত্যা করেছে। পরে ওয়ারী থানা মামলা না নিলে আদালতে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি ঢাকা মেট্রোপলিটন পূর্ব) বেলায়ত হোসেনের জানান, শাহজাহান বাদশার ছেলে আবির হোসেন গত ৩০ আগস্ট আদালতে ছেলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি সিএমএম আদালতে রুজু করে কবর থেকে লাশ তোলার নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেডিকেল অফিসারের উপস্থিতিতে লাশ তুলে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুর সময় থানায় কোন কিছুই জানানো হয়নি। হঠাৎ নিহতের ছেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ মাস ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে
[sharethis-inline-buttons]