রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রোহিতপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় সোয়া কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দাবি। আগুনে ১টি দোকানের আংশিক এবং আপর ৪ টি দোকানের সম্পুর্ণ মালামাল পুড়ে যায়।
গতকাল ২২ মার্চ,(শনিবার) রাত ১২ টার দিকে রোহিতপুর মাছ বাজারের পাশে বাজারের সব চেয়ে বড় দোকান রহমান ষ্টোর সহ আরো চারটি দোকানে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহায় মুহুর্তের মধ্যেই এরশাদ ষ্টোর, রাজু ষ্টোর, আজহার ষ্টোর ও শাওন ষ্টোর সম্পন্ন পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
রহমান ষ্টোরএর মালিক আব্দুর রহমান জানান, রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ খবর আসে দোকানে আগুন লেগেছে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিলো যে ৩০ মিনিটেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে তার আগেই দোকানে থাকা নগদ টাকা, মালামাল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ।
রাজু ষ্টোরের মালিক মোঃ হাফিজ জানান, জীবিকার এক মাত্র সম্বল হারিয়ে আজ আমি নিঃস্ব। একটা বাজারে কি ভাবে একাধারে ৩ দিন আগুন লাগে? আমাদের মনে হচ্ছে এটা পূর্ব-পরিকল্পিত আগুন! এরশাদ ষ্টোর ও আজহার ষ্টোরের জমিদার রোহিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল আলী বলেন, এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না কি ভানে আগুন লেগেছে। আগুনে আমার দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আতিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ৪০ মিনিট প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। সময় মত ঘটনাস্থলে পৌছে পাড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো গেছে। নতুবা সম্পন্ন বাজার পুড়ে যেতো। আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শার্ট সার্কিটের আগুন লেগেছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শার্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সময় মত ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। এসময় দোকান গুলোতে যাতে লুটপাট না হয় সে ব্যপারে পুলিশ যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, আমরা তদন্ত কর্মকর্তা কে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী করনীয় জানানো হবে।