কেরানীগঞ্জে বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, ৫শ ভরি স্বর্ণালংকার লুট

ঢাকার কেরানীগঞ্জে দিনে দুপুরে মুহু মুহু বোমা ফাটিয়ে আল আমিন জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল দোকানের মালিক স্বপণ চন্দ্রের পায়ে গুলি করে প্রায় ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি করে যাওয়ার সময় ডাকাতদল উৎসুক জনতাকে উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ছুড়ে ফেলে যায়।বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর বাজার এলাকায় এঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় জুয়েলার্সের মালিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর পৌনে ২ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে ২টি মটোর সাইকেলযোগে ৪ যুবক প্রথমে ঐ দোকানের সামনে আসে। মটোরসাইকেল থেকে নেমে ৮/১০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে পরে ৩ যুবক, এসময় বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে আরেকজন। পরে দোকানের ভিতর দুই রাউন্ড গুলি করে দোকান থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে তারা মটোরসাইকেলে করে আবার চলে যায়। জলে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতাকে লক্ষ্য করে তারা বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ছুড়ে মারে।

এদিকে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) সুপার শাহাবুদ্দিন কবির, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল মেম্বার জানান, দুপুরে দু’টি মোটরসাইকেলে করে ৪ যুবক দোকানের সামনে এসে প্রথমে কয়েকটি বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফেলে। পরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে দোকানে ঢুকে মাত্র কয়েক মিনিটে মালিক স্বপনের পায়ে গুলি করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায়।

আল আমিন জুয়েলার্সের মালিকের ভাগিনা দূর্জয় বলেন, হটাৎ করে কয়েকজন যুবক ককটেল বিস্ফোরণ করে দোকানে ঢুকে পরে। এরপর কিছু বুঝে ওঠার  আগেই তারা আমার মামা স্বপনের ডান হাঁটুতে গুলি করে। পরে দোকান থেকে প্রায় ৫শ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা বেশ কিছু স্বর্ণালংকার রাস্তায় ফেলে যায়। পরে পুলিশ এসে সেসব স্বর্ণ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, দিনে দুপুরে ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় আমরাও বিচলিত। এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা, তবে আমরা বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। আশা করছি দ্রুতই আসামীদের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বর্ণালংকার ছুড়ে মারা তাদের একটি কৌশল। জনতা যেনো তাদেরকে পথরোধ না করে সে জন্যই তারা জনতার উদ্দেশ্যে স্বর্ণালংকার ছুড়ে মেরেছে। পুলিশ রাস্তা থেকে বেশ কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। তবে সেগুলোর পরিমাণ কতটুকু বা কি পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।#

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

ধলেশ্বরীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু আনলোডিং; হুমকির মুখে তীর রক্ষায় ব্যবহৃত জিও ব্যাগ

কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই কেরানীগঞ্জে ধলেশ্বরী তীরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে আশে পাশের …

error: Content is protected !!