ঢাকার কেরানীগঞ্জের নৌকার মাঝি হত্যাকান্ডোর ঘটনায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আত্মগোপনে থাকা ০৩ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরী গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, গত ০৪ ফেব্রæয়ারী ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া টিপু মিয়ার বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
স্থানীয়রা ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করে জানায় মৃত ব্যক্তির নাম মনিন্দ দাস (৭০), পিতা-মৃত বরন দাস, সাং-বাঘৈর, থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা। এ ঘটনায় নিহত মনিন্দ দাসের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাব উক্ত ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় ০৯ ফেব্রæয়ারি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরী গলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,১। মোঃ ফজলে রাব্বি (২১), ২। মোঃ শরীফ (২০), ৩। মোঃ আজিজুল শেখ (২২)।
ঘটনার বিবরনী সম্পর্কে জানা যায়, নিহত মনিন্দ দাস (৭০) প্রতিদিনের ন্যয় গত ৪ ফেব্রæয়ারী ভোরে খেয়াঘাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পথিমধ্যেচুনকুটিয়া চৌধুরীপাড়া টিপু মিয়ার বাড়ির সামনে পৌছালে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে উক্ত মাঝি’কে ঘেরাও করে। কিন্তু মাঝির নিকট কোন অর্থ না পেয়ে এবং ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে উক্ত মাঝিকে নিঃসংশভাবে একাধিক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত মাঝি হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা মাদকাসক্ত, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। এছাড়াও তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ডাকাতিসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।#