ঢাকার কেরানীগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার কারণে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় মামলায় এজাহারভ‚ক্ত আসামী তোফাজ্জল হোসেন (৩৩) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন নতুন বাক্তারচর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান।
মামলার বাদী মোঃ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি নির্বাচনে কোন্ডা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী ছিলেন আমার মামতো ভাই দুদু মিয়া। নির্বাচনের দিন আমি ও আমার ছেলে ফাহিম রহমান বাক্তারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমার মামাতো ভাইয়ের পক্ষে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছি। বিকেলে আমার মামাতো ভাইয়ের প্রতিপক্ষ প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের লোকজন জালভোট দেয়ার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দেই।
এতে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে তোফাজ্জলের নেতৃত্বে আমজাদ হোসেন, ফারুক, হারুন, মালেক ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন আমাকে ও আমার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী পেটাতে থাকে। পরে আমার ভাগিনা হৃদয় হোসেন, ভাতিজা রনি মিয়া, স্ত্রী জোসনা বেগম, ছোট ছেলে তায়িন রহমান আমাদের বাচাতে এলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এসময় তাদের চাপাতির আঘাতে আমার ভাগিনা হৃদয় হোসেনের মাথায় ও ভাতিজা রনি মিয়ার কানে রক্তাক্ত জখম হয়।
এদিকে নির্বাচনের দিন ঐ একই কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তোফাজ্জল হোসেনের লোকজন। পরে এবিষয়ে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তিনি। জানতে চাইলে কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের দিন আমি এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যাই। এসময় মেম্বার প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের ভাই মনির হোসেন ও তার লোকজন আমাকে জনসম্মুখে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় আমি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।
এব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুটি ঘটনায় আলাদা একটি মামলা ও একটি জিডি হয়েছে। মামলার ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিডির বিষয়ে তদন্ত চলছে।