ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা-রোহিতপুর রোডের পাশে, শাক্তা আঃ সালাম চেয়ারম্যান সড়কে অবস্থিত দুটি অবৈধ সিসা কারখানা ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচঅরনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল।
কারখানার ব্যাটারির অ্যাসিড ও বিভিন্ন বর্জ্যে প্রকট গন্ধ ও ধোঁয়ায় গুলিস্তান-বান্দুরা সড়কে বাসে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী, শাক্তা ও বাস্তা ইউনিয়নের কাকালীয়া, অগ্রখোলা,রামেরকান্দা,গোয়ালখালী এলাকার স্থানীয় লোকজন ছিলো অতিষ্ঠ। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছিলো।
স্থানীয় বাসিন্দা রানা জানান, কারখানা দুটির ধোঁয়া ও গন্ধে এলাকায় থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। অনেকে বাড়ী ছেড়ে চলেও গেছে। আমাদের বহুদিনের আকাংখা আজ পূর্ণ হলো। এখন এলাকার মানুষ মুক্ত ভাবে নিঃস্বাস নিতে পারবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকানদার অভিযোগ করে বলেন, কারখানার মালিক স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী,উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ও কিছু কিছু সাংবাদিকদের সহযোগিতায় কারখানা দুটি চালিয়ে আসছিলো। রঞ্জিত বাবু ও গাজী নামের দুই ব্যক্তি এ কারখানার মালিক। এরা দুজনই এ এলাকার লোক না। নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ চালিয়ে তারা থাকতো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। তাদের কে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলার পরও কোনো লাভ হচ্ছিলো না। দিনে অ্যাসিড, রাতে ধোঁয়ার গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ডাঃ মনির হোসেন বলেন, সিসা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ব্যাটারির বর্জ্যসহ নানা কেমিক্যাল যুক্ত প্লাস্টিক, কৌটা পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে আশপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জনিং সৃষ্টি করে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, কেরানীগঞ্জের শিশুরা সিসা মুক্ত পরিবেশে শ্বাসপ্রশ্বাস নিবে। কেরানীগঞ্জে কোন সিসা ফ্যাক্টরি থাকবে না বলে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছে এটা তারই অংশ। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে যতদিন না এগুলো শেষ হয়। #