কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার ইটখোলা গ্রামে দুর্বৃত্তরা বাজার থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত যুবককের নাম মোঃআহমদ আলী (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। দুর্বৃত্তরা নিহত যুবকের লাশ কলাতিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নিহতেরপরিবারের লোকজন ও থানা পুলিশ হাসপাতালে যান। নিহতের বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেলথানাধীন তারানগর ইউনিয়নের ইটখোলা গ্রামে। নিহতের পিতার নাম মোঃ রবিউল্লাহ।নিহতের স্ত্রী মোসাম্মদ ফরিদা বেগম জানান, তার স্বামী নিহত আহমদ আলী একজন নিরহ প্রকৃতির লোক। সে নিজ গ্রাম থেকে তরিতরকারী (সব্জি) ক্রয় করে রাজধানীর কাওরান বাজারে পাইকারী হিসেবে বিক্রি করতেন পাশাপাশি এলাকার লোকজনের কাছথেকে রুপার বিভিন্ন ধরনের গহ্নার অর্ডার নিয়ে বাড়িতে বসে তৈরী করে দিতেন।তার সাথে এলাকার কোন লোকজনের সাথে ঝগড়া বিবাদ ছিল না।
তাদের ঘরে ফরহাদনামের সাড়ে তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান ও গর্ভে আরেকটি সন্তান রয়েছে। তিনিজানান স্বামী আহমদ আলী বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বোন জামাইয়ের সাথেপাশ্ববর্তি সিরাজনগর এলাকার নতুন বাজারে যান। সেখান থেকে বোন জামাইকলাতিয়া চলে গেলে আহমদ বাড়ির উদ্যোশে রওনা দেন। প্রতক্ষ্যদর্শি স্থানীয় জসিমউদ্দিনের মারফত জানতে পারি ওই এলাকার সেলিম দলবল নিয়ে আমার স্বামীকে ওই বাজারএলাকা থেকে তাদের সাথে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেলিম লোকজন নিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কলাতিযা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেকর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে লাশ রেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
প্রায় তিন চার মাস আগে সেলিমের সাথে আমার দেবর কুদ্দুসের ঝগড়া হয়। সে ঝগড়ারকারনেই সেলিম আমার নিরিহ স্বামীকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ কলাতিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেসুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজমিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনা সত্যতাস্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারানগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টিখতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে থানায়মামলা প্রকিয়াধীন রয়েছে।