ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডিজিটাল সাইনবোর্ডের মাধ্যমে ব্যাপক বিদ্যুৎ অপচয় পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদেশে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না সরকারের এই নির্দেশনা। তেমনি ভাবে কেরানীগঞ্জে বেশির ভাগ শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো রাত ৮ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে গেলেও রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাগানো বৈদ্যুতিক সাইনবোর্ড অথবা ডিজিটাল বোর্ডগুলো জ্বলে সারা রাত ধরে। এতে অযথাই বিদ্যুতের ব্যাপক অপচয় হয়।
সরেজমিন কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা যায় কেরানীগঞ্জের প্রত্যেকটি ব্যস্ততম এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানী/ ব্যান্ডের বড় বড় এলএইডি অথবা ডিজিটাল সাইনবোর্ড। এছাড়া ছোট বড় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সামনেই লাগিয়ে রেখেছে ডিজিটাল বৈদ্যুতিক সাইনবোর্ড যা অযথাই জ্বলে সারা রাত ধরে।
কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লী এলাকায় বিভিন্ন ভবনের উপরে রয়েছে বিশাল আকৃতির একাধিক ডিজিটাল সাইনবোর্ড। গার্মেন্টস পল্লীর দোকানপাট রাত ৮ টার অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেলেও বিভিন্ন ভবনের উপর এ সকল ডিজিটাল সাইনবোর্ড জ্বলে সারা রাত ধরেই। যা অপ্রোয়জনীয় বলছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের ভাস্যমতে যেহুতু দোকানপাট ৮ টার আগেই বন্ধ হয়ে যায়, তাই এ সকল সাইনবোর্ড এখন সারা রাত জ্বালানো বিদ্যুতের অপচয় ছাড়া আর কিছু না।
এছাড়া গার্মেন্টস পল্লীর ছোট বড় বিভিন্ন ব্যান্ডের দোকানের সামনে রয়েছে ডিজিটাল সাইনবোর্ড, যেগুলো আপাতত বন্ধ রাখলে এ এলাকায় লোড শেডিং কিছুটা কম হবে এবং বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় লায়ন শপার্স ওয়াল্ডে গিয়ে দেখা যায়, এই মার্কেটের সামনে রয়েছে বিশাল আকৃতির বৈদ্যুতিক বিলবোর্ড। লায়ন সপার্স ওয়াল্ড মার্কেটটি রাত ৮ টার মধ্যে বন্ধ হয়ে গেলেও বিলবোর্ড বন্ধ হয় না। সেটি জ্বলে সারা রাত ধরেই। কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে লায়ন সপার্স ওয়ার্ল্ড, ইবনে সিনা হাসপাতাল, সহ কম বেশি সকল প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে ডিজিটাল বিলবোর্ড। যেগুলো আপাতত বন্ধ রাখলে এ এলাকায় বিদ্যুৎ কিছুটা সাশ্রয় সম্ভব বলে ধারনা স্থানীয়দের।
কদমতলী এলাকায় মো: সালাম নামে এক ব্যাক্তি জানান, যেখানে আমাদের বাসা বাড়িতে দিনের বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ থাকে না। রাতেও চলে যায় আমরা ঘুমের মধ্যে কষ্ট করি। সেখানে এই প্রতিষ্ঠানগুলো আপাতত এই সব ডিজিটাল সাইনবোর্ড বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ কিছুটা হলেও বাচবে মনে হয়। আর আমাদের এই খানে লোড শেডিং ও কমবে কিছুটা হয়তো। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় এই সকল সাইনবোর্ড আপাতত বন্ধ রাখা উচিত।
মো: আবীর নামে অপর এক ব্যাক্তি বলেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাদের এলাকার লোক। সবার আগে আমাদের উচিত তিনি যে বিদ্যুৎ অপচয় কমাতে বলেছেন তার নির্দেশ পালন করা। কিন্তু আমরা তা করছি না। দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমরা সকলে মিলে মিতব্যায়ী হলেই বিদ্যুৎ এর অপচয় কম হবে।
শুধু কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ অথবা কদমতলী নয়, জিনজিরা,হাসনাবাদ, আটিবাজার, রুহিতপর সহ বিভিন্ন এলাকাঘুরে ডিজিটাল সাইনবোর্ডের মাধ্যমে বিদ্যুতের অপচয়য়ের একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষে আমাদের সকলকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা উচিত। জরুরী লাইট যেমন স্ট্রীট লাইট ছাড়া বাকি সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় আলোক সজ্জা বন্ধ থাকবে। এই সাইনবোর্ডগুলো যেন বন্ধ করে আমরা সেই ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহন করছি। #