চাঁদা না পেয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের নতুন রায়েরচর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি অসহায় পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ী ভাংচুর করে চাঁদাবাজ সোহেল রশিদ বাহিনী।
এসময় বাড়ীর মালিক আমান মিয়া ‘৯৯৯’ এ ফোন করলে পুলিশ এসে একজনকে আটক করে এবং অপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী আমান মিয়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৬মার্চ-২০২১ আমান মিয়া সহ চারজন মিলে আর.এস-৯১০ নং দাগের একটি জমি কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস থেকে ৩৮১২নং দলিলমূলে বায়না সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে বসবাসের জন্য জমির চারপাশে দেয়াল প্রাচীর দিয়ে টিনসেড ঘর নির্মান করেন।
কিন্তু এই জমির উত্তর পাশের আর.এস-৮১৫ নং দাগের জমির মালিক সোহেল রশিদ উক্ত বায়নাকৃত জমিটি জোড়পূর্বক দখলে নিতে চেষ্টা করায় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতে ভূমি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে যার যার অবস্থান বুঝিয়ে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে সোহেল রশিদ ও নাসির সরদার তা অমান্য করে দলবল নিয়ে আবারো জমিটি দখল নেয়ার চেষ্টা চালায় এবং আমানের কাছে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। আমান মিয়া চাঁদার টাকা না দেয়ায় সোহেল রশিদ, নাসির সরদার, সৈয়দ হাসান আলী রুবেল, বাচ্চু কাজীসহ আরও ৩/৪ জন মিলে ২৫মে-২০২১ তারিখ রাতে হামলা চালিয়ে উক্ত টিনসেড ঘরগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলে।
খবর পেয়ে জমির মালিক আমান মিয়া ‘৯৯৯’এ ফোন করে পুলিশ ডেকে আনেন এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হামলাকারী রুবেলকে আটক করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ওই ঘটনায় আসামিরা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পায়।
ক্ষতিপূরনের টাকা না দিয়ে উল্টো আবার চাঁদা দাবি করা সহ হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী আমান মিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ মারুফ বলেন, আমান চাচার ঘরের এখানে আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন হঠাৎ দেখলাম কয়েকজন লোক এসে আমান চাচাদের ঘর ভাংচুর করতেছে। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম ভাই ভাংচুর করতেছেন কেনো ? তখন রুবেল নামে এক ব্যক্তি এসে আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে হামার দিয়ে হাতে আঘাত করে ।
এতে আমার হাত ফুলে যায়। রুবেল ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করে কিন্তু আমার এলাকায় নতুন বাড়ি করলেও সে এখানে থাকে না। তবে মানুষের জায়গা-জমি জোড়পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে।
তবে, এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কেরানীগঞ্জে মডেল থানার এস আই শ্যামল বলন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তবে ঘটনা সত্য নয় বলে তিনি এরিয়ে যান।
কেরানীগঞ্জে মডেল থানার ওসি আবু সালাম মিয়া বলেন, বিষটি সঠিক কি না তা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।