ঢাকার কেরানীগঞ্জে জিনজিরা ইউনিয়নে জিনজিরা ২০ শয্যা হাসপাতালে চলছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা। সারা দেশে করোনা ডেডিকেট হাসপাতালের মধ্যে এটি একটি। এখন এই হাসপাতালের সামনে রাস্তায় বসেছে কোরবানী অস্থায়ী পশুর হাট । এতে ঘনবসতি পূর্ন এ এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও রক্ষায় উদ্বেগ তৈরী হয়েছে।
এই হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। রোগীর আত্মীয় স্বজনরা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খোজ খবর নিতে আসে। প্রতিবছর এই স্থানে হাট বসলেও এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়তি কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। হাসপাতলটির সামনে হাট বসায় মানুষজন ও যানচলাচল ব্যহত হচ্ছে, ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবাও ব্যহত হচ্ছে বলে মনে করছে এলাকাবাসীরা। এছাড়াও হাসপাতালের সামনের পশুর মলমুত্র হাসপাতালের পরিবেশ ও নষ্ট করছে।
সরেজমিন রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ২০ শয্যা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের সামনে দুইপাশে হাটের গরু রাখা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালের গেটের সামনেও রয়েছে গরু। গরু রাখার কারনে যানবাহন প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। হাসপাতালটির সামনে দাড়িয়ে আছে ভর্তি রোগীদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন। হাসপাতালের সামনে ফেলে রাখা হয়েছে গোবরের স্তুপ। গোবরের দুর্গন্ধ হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছে। এছাড়া পুরো হাটেও কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। মাস্ক ছাড়াই গরুর হাটে ঘোড়াফেরা করছে অধিকাংশ লোকজন।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক করোনা রোগীর ছোট ভাই মো: ইয়াসিন জানান, প্রতিদিন আমার মতো অনেকে এখানে ভর্তি থাকা রোগীদের খোজ খবর নিতে আসে। হাট বসেছে রাস্তা পুরো বন্ধ হয়ে গেছে। কেরানীগঞ্জের করোনা রোগীদের একমাত্র হাসপাতাল এটি এ ব্যাপারে প্রশাসন ও হাট কতৃপক্ষের নজর রাখা উচিত ছিলো।
এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান, হাসপাতালটির সামনে পশুর হাট বসানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এখানে গরু রাখলে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হবেই। বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে হাসপাতালটিতে থাকা লোকজন, রোগীর আত্মীয় স্বজনের সংস্পর্শে এসে আক্রান্তের হার অনেক বাড়তে পারে।
জিনজিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও হাটের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা হাজী সাকুর হোসেন সাকুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, করোনা হাসপাতালের সামনে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় , সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। হাসপাতালের সামনের আশে পাশের সব গরু সরিয়ে দেয়া হয়েছে কিছুক্ষন আগে। আবার রাখলে আবারো সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হাটের ইজারাদারকে স্পষ্ট ভাবে বলে দেয়া হয়েছিলো হাসপাতালের সামনে কোন ভাবেই গরু রাখা যাবে না। আমি দ্রæতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।#