ঢাকার কেরানীগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন দড়িগাও বটতলি ও বড় বাস্তা এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একই রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন পুরাতন শাহাপুর এলাকায় আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পৃথক ৩ টি ঘটনায় ডাকাতদল নগদ ৮ লক্ষ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ডাকাতির ৩ টি ঘটনা পৃথক এলাকায় হলেও ডাকাতির ধরণ প্রায় একই রকমের। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে দড়িগাও বটতলি এলাকায় মৃত শরফত উল্লাহর বাড়ীর জানালার গ্রিল ভেঙে ৫/৬ জন সশস্ত্র ডাকাতদল ঘরে ঢুকে পড়ে। এসময় বাড়ীরে বাহিরে আরো বেশ কয়েকজন ডাকাত পাহাড়ারত অবস্থায় ছিলো। ডাকাতদল ঐ বাড়ীর নারী সদস্যদের মারধর করে ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে রাত ৩ টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন পুরাতন শাহাপুর এলাকায় বারান্দার গ্রিল কেটে আলাউদ্দিন মিয়ার বাড়ীতে প্রবেশ করে ডাকাতদল। পরে বাড়ীর মালিক ও অন্য সদস্যদের হাতপা বেধে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। এদিকে একই রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বড় বাস্তা এলাকায় নজরুল ইসলামের বাড়ীতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। এসময় ডাকাতদল বাড়ীর মালিক ও অন্য সদস্যদের হাতপা বেধে নগদ ৮ লক্ষ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, ঘটনা ৩ টি আমি শুনেছি। বড় বাস্তা এলাকায় আমি নিজে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম এঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর অন্য দুটি ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি সেট্ওি তদন্ত চলছে। ৩টি ঘটনার সাথে কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ৩ টিই আলাদা ঘটনা, তবে তদন্ত শেষে সব কিছুই পরিস্কার হবে।#