নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত রানিয়ারা বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি নির্মিত হয়েছে ১১২ বছরেরও বেশি সময় আগে, প্রতিষ্ঠানটির মোট জায়গার পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। মোট জমির প্রায় ৬ শতাংশ জায়গা এক ব্যাক্তি নাম: কাইয়ুম (বয়স ৫৫) গত ৬ বছর ধরে জোরপূর্বকভাবে বেদখল করে আসছে।
গত মার্চের ৩ তারিখে সরকারি সার্ভেয়ার এসে স্কুলের জমি পরিমাপ করে পিলার স্থাপন করে গিয়েছিলেন, পিলারগুলো রাতে দুর্বৃত্তরা উপড়ে ফেলে এবং নিশানা গায়েব করে দেয়। কিছুদিন আগে স্কুলটির উত্তর পাশে সীমানা-দেয়াল নির্মাণ করার সময় উল্লেখিত ব্যাক্তি কাইয়ুমসহ তার মানুষজন এসে প্রধান শিক্ষিকার সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারার হুমকি দেয় এবং অর্ধনির্মিত দেয়ালের কিছু ইট ভেঙে ফেলে। স্কুলটির বাউন্ডারি নির্মাণ সেখানেই থেমে যায়।
বর্তমানে এই স্কুলের পূর্বপাশে একটি ভগ্নপ্রায় স্থাপনা ভেঙে সেখানে নতুন বিল্ডিং করার জন্য বিভিন্ন সময় টেন্ডার আসলেও তা আর করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা পূর্বপাশে সেই পরিবার বিশাল জায়গা (৬ শতাংশ) দখল করে থাকার কারণে নতুন বিল্ডিং করার জন্য যতটুকু পরিমাণ জায়গা দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও সীমানা দেয়াল না থাকায় স্কুলের পাঠদানে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের টিনের তৈরী ভগ্নপ্রায় শ্রেণিকক্ষেও ক্লাস করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তানজিনা নিদ্রা বলেন, আমি অনেকদিন ধরে এই সমস্যা নিরসনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানানোয় আমাকে অনেক হুমকির স্বীকার হতে হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব স্কুলের জমি বেদখল করা ব্যাক্তিকে আইনের আওতায় আনা হোক।
স্কুলটির এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকর্ণ চৌধুরী এই বিষয়ে বলেন, গ্রামের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের পরিবারই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তাদের শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র উপায়ই হলো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এই শিক্ষা কার্যক্রমে বাঁধাদান করেন যারা তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
কসবা উপজেলার ভূমি সহকারী কমিশনার সঞ্জিব সরকার এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান খুব শীঘ্রই এর জন্য আইনি ব্যাবস্থা নেযা হবে।
এলাকাবাসী সকলের চাওয়া বিদ্যালয়টির পাঠকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হোক এবং স্কুলের বেদখলকৃত জায়গা উদ্ধার করা হোক খুব শীঘ্রই। শতবছরপূর্বে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের।