ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেরানীগঞ্জের জনগন সামাজিক দুরুত্ব ও অন্যান্য নিয়ম কানুন না মানায় বাড়ছে করোনা রোগী। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মীরা। তবুও করোনা ঝুকি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন দিগন্তের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীরা।
সরেজমিনে কেরানীগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, করোনা পরিস্তিতেও অন্যান্য সময়ের মতোই সেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা আসছে সেবা নিতে।
এছাড়া কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০জন চিকিৎসক ও ৪০জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। তারা একদিকে যেমন করোনায় আক্রান্তদের সেবায় নমুনা সংগ্রহ,আইসোলেশনে রাখা, হাসপাতালে পাঠানোসহ নানা সেবা দিচ্ছেন অন্যদিকে প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলেভারী, সিজারিয়ান ডেলেভারীসহ অন্যান্য সাধারন সেবাও দিয়ে যাচ্ছেন।
সেবা নিতে আসা কালিন্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা আসমা আক্তার জানান, আমার গাইনী কিছু জটিল সমস্যা হচ্ছিলো। করোনা পরিস্থিতি শুনলাম সব হাসপাতাল বন্ধ। টেনশন হচ্ছিলো খুব, লোক মুখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কথা শুনে এখানে এসে সেবা নিয়ে এখন সস্তি বোধ করছি। এছাড়া সেবা নিতে আসা মো: ইসমাইল, হাফিস হোসেন, আফিয়া ইসলাম, আয়েশা খাতুনের কথা হলে তারাও সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসাইন জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। তারপরেও কেরানীগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্য সেবার কথা ভেবে আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লক ডাউন না করে করোনা ঝুকি নিয়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কেরানীগঞ্জবাসীর আরো সচেতনতা দরকার। আগামী দিনগুলো সবার উচিত সরকার ও প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলা, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা। সবাই মিলে সচেতন না হলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।