ইবি অধ্যাপক ড. মামুনের নতুন অনুবাদগ্রন্থ ‘শুভ্র বরফের দেশে’

ইবি: অমর একুশে বইমেলায় বের হইছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের অনুবাদগ্রন্থ ‘শুভ্র বরফের দেশে’। বইটি এ বছরের বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে জনপ্রিয় প্রকাশনী ‘কবি প্রকাশনী’।

উপন্যাসটির মূল লেখক হলেন ১৯৬৮ সালের নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত জাপানি ঔপন্যাসিক ইয়াসুনারী কাওয়াবাতা। জাপানের উত্তরাংশের বরফাবৃত এলাকা নিয়ে লেখা উপন্যাসটি সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়।

ড. মামুনুর রহমান এ বিখ্যাত ঔপন্যাসিকের উপন্যাসটি বাংলায় অনুবাদ করেন। অনুবাদগ্রন্থটির মুখবন্ধ লিখেছেন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব হিউম্যানিটিজের স্বনামধন্য অধ্যাপক কোসুগি ছেই।

উপন্যাসটিতে টোকিওর একজন ধনী ব্যক্তির উত্তর জাপানের তুষার-ঢাকা এলাকার একটি উষ্ণ ঝরনায় ভ্রমণে এসে দুই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ত্রিভূজ প্রেমকাহিনী রচনা করার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

শুভ্র, সুন্দর বরফের দেশের উষ্ণ ঝরনার প্রেক্ষাপটে রচিত এ উপন্যাসের মাধ্যমে ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা উত্তরের দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা, বিশেষ করে বাইজিদের সংগ্রামমুখর জীবনের কথা তুলে ধরেছেন।

বইটির অনুবাদকারী অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, জাপান বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। দেশটির সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বাংলাভাষী মানুষের রয়েছে দারুণ আগ্রহ। কাজেই আমাদের পাঠকদের কাছে কাওয়াবাতার এ বিখ্যাত উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ তুলে ধরতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।

জানা যায়, অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমান বেশ কিছু বছর ধরে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইচে ইয়োশিওয়ে সঙ্গে যৌথ গবেষণায় নিয়োজিত। ২০২১ সালের পহেলা জুন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইচে ইয়োশিওয়ের নেতৃত্বে ড. মামুনসহ জাপানের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঁচ গবেষক দলের গবেষণায় এ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

যার শিরোনাম আধুনিকীকরণের পুনরাবৃত্তি এবং বৈচিত্র্য। যাতে ফু’কুর “আর্কিওলোজি”র দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিতর্কিত বিনির্মাণ বিশ্লেষণ রয়েছে। যেখানে তিনি ভারত ও বাংলাদেশের জাতিগত পরিচয় নিয়ে কাজ করেন।

এর আগে ড. মামুনুর রহমান এবং অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও ২০১৩ সালে হিরোশিমা থেকে যৌথভাবে “বিদ্রোহীদের” প্রতিকৃতি: আধুনীকিকরণ এবং বৃটেন, ভারত ও জাপানে এর বিতর্কিত গঠন শিরোনামে বই প্রকাশ করেন। তিনি জাপানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রথমে ঢাকাস্থ জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ সেন্টার থেকে, পরে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাপনি ভাষা শেখেন।

তিনি বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইআইইআর) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতৃত্বে হিমেল-রকি

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে …

error: Content is protected !!