ইবির খালেদা হলকে ঢেলে সাজিয়েছেন ড. রেবা মন্ডল

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক ছাত্রী হলের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন খালেদা জিয়া হল। ২০১৯ সালে এ হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলকে নিয়োগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী।

দায়িত্ব গ্রহণ করে অবকাঠামোগত ও ভিন্নধর্মী নানা কাজ করে হলের আবাসিক ছাত্রীদের মাঝে প্রশংসার সাড়া ফেলেছেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল।

হল ও ছাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন পর হলের অভ্যন্তরীণ ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটি ও ৩ বছর অচলাবস্থায় পড়ে থাকা লাইব্রেরীতে পড়ার উপযোগী করেছেন তিনি।এছাড়াও হলের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত সংস্কারে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।

গণরুম, বাথরুমগুলো ছিল ব্যবহারের অনুপযোগী। বাথরুমের সংস্কার সহ শীতের ঠান্ডা বাতাসের পরিত্রাণ দেয়া হয়েছে ভাঙা জানালার কাঁচ লাগিয়ে, হয়েছে ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়ন। তার পাশাপাশি ডেকোরেশনও করা হয়েছে। মশার উপদ্রব কমাতে ঝোপঝাড় পরিস্কার করে হলের পেছেনের দিকে করা হয়েছে আলোর ব্যবস্থা।

আলোর ঝলকানিতে রাতের খালেদা জিয়া হল ছোটখাটো পার্কে পরিণত হয়েছে। তার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে হয়েছে “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনাসভা। জাতীয় দিবসগুলো পালিত হয় নানা আড়ম্বরপূর্ণভাবে।

খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রী আসমাউল হুসনা সাবিস্তা বলেন, আমাদের বর্তমান প্রভোস্ট ম্যাম অনেক সক্রিয়। প্রকৃতঅর্থে একজন অবিভাবক পেয়েছি আমরা, হলে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছেন তিনি। হলের কাঠামোগত হোক আর পরিবেশ গত হোক তিনি সব ক্ষেত্রে নজর রাখেন এবং আরও উন্নয়ন করবেন আশা করে যাচ্ছি। তাঁর কাছে যেকোন সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি কখনও কাউকে নিরাশ করেননি। বরং তিনি আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন আমাদের উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের জন্য। এমনকি তিনি নিজে মেয়েদের রুমে গিয়ে খোঁজ খবর নেন যা আমাদের হলে আগে কখনও হয়নি।

গণরুমের আবাসিক ছাত্রী সাদিয়া আফরোজ বলেন, গণরুমের মেয়েদের জন্য বর্তমান প্রভোস্ট ম্যাম আশীর্বাদ স্বরূপ। ম্যাম অনেক আন্তরিক। তিনি দায়িত্বে আসার পর খালেদা জিয়া হলে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। আগে ডাইনিং এর খাবারের মান ছিলো খুবই নিম্নমানের কিন্তু ম্যাম আসার পর ডাইনিংয়ের খাবারের মান অনেক ভাল হয়েছে। আমাদের গণরুমের বাথরুম গুলো ব্যবহার অনুপযোগী ছিলো। কিন্তু বাথরুমসহ রুমের অনেক উন্নয়ন করেছেন তিনি। আমরা চাই ম্যামের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক।

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীরাও আমাকে সহযোগিতা করেছে। বিভিন্নভাবে আমি হলটাকে নতুনভাবে সাজিয়ে ছিলাম।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

ইবি অধ্যাপকের নতুন বই প্রকাশ

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির …

error: Content is protected !!