ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার আড্ডা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি চলে। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন সদস্যদের টি-শার্ট ও মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেয় সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে টাইটেল স্পন্সরশীপ ছিলেন ট্রাস্ট আজিয়াটা লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও ট্রাস্ট আজিয়াটা লিমিটেডের হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এন্ড মিডিয়া রিলেশন আশিকুর রহমান।
ক্লাবের সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, ড. মুর্শিদ আলম, সাজ্জাদুর রহমান টিটু, ট্রাস্ট আজিয়াটা লিমিটেডের রিজিওনাল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান স্বপনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইসলাম মাহী। এতে দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী প্রোগ্রামটি উপভোগ করেন।
ক্যারিয়ার আড্ডায় প্রধান আলোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাফল্যের গল্প শোনান ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার গাজী মিজানুর রহমান এবং আরেক অথিতি হিসেবে ছিলেন কম্ভিভা টেকনোলজিস লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান) আরিফুজ্জামান কোমল।
অনুষ্ঠানে আলোচকগন ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা দেন। বিসিএস ও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীসহ বিভিন্ন চাকরীর পরীক্ষার জন্য কিভাবে পড়ালেখা করলে, সময়কে কিভাবে ব্যবহার করলে সফলতা পাওয়া যায় সে বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেন তারা। আলোচনা শেষে দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিটি মানুষের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পূর্বে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে হতাশা নয়, সততার সাথে কাজ করলে সাফল্য আসবেই। ভবিষ্যত পরিকল্পনা থাকতে হবে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা যদি সঠিক হয় তাহলে শিক্ষা জীবন শেষে কর্মজীবনে অবশ্যই সফলতা পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া তাঁর কর্মজীবনের গল্পে বলেন, আমি পর্যায়ক্রমে ৩টি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছি। প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচ্চকর্মের পরিকল্পনা ও চেষ্টা থাকতে হবে। তাহলেই তার ক্যারিয়ার জীবনের গল্প সুন্দর হবে।