আওয়ামী লীগ নেতার স্কুল পড়োয়া কন্যাকে নিয়ে উধাও রোহিঙ্গা তরুণ!

বিশেষ প্রতিনিধি:

টেকনাফের হ্নীলা ইউপির দরগাহ পাড়া এলাকার এক আওয়ামীলীগ নেতার স্কুল পড়োয়া মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা পুরান রোহিঙ্গা তরুণ। স্কুল পড়োয়া শিক্ষার্থীর না মিতালী ফারজান মিশুক নামক সেই স্থানীয় আলমের মেয়ে। অপরদিকে অপহৃত তরুণ রোহিঙ্গা নাগরিক বশির আহমেদের ছেলে খায়রুল পুরাতন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।

রবিবার (২ এপ্রিল ) বিকেল ৪ টা সময় এ ঘঠনা ঘটে ,মিতালী ফারজান মিশু স্কুল থেকে আসার পথে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ভাবে খাইরুল আমিন সহ কয়েকজন অজ্ঞতা নামা ব্যক্তি ওই স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়,তবে এখনো খুজ মেলেনি মেয়েটির।

তথ্যসূত্রে জানা গেল খাইরুল আমিন,তার বাবার নাম বশির আহমদ, তারা বিগত ২০ বছর আগে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ এর টেকনাফ সীমান্ত উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া একটি বনভূমির জায়গায় দখল করে রাখেন,পরে তারা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে,খোজ খবর নিয়ে জানা গেল তাদের আত্মীয় স্বজন অনেকেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত,তারা মায়ানমার থেকে ইয়াবা এনে বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে,
সাম্প্রতিক তাদের এক ভাগিনা আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি ইয়াবাসহ জেলে খাঠে, ওই রোহিঙ্গা পরিবারের একমাত্র ব্যবসা হল ইয়াবা।

ভুক্তভোগী বাবা মোহাম্মদ আলম জানান, আমার মেয়ে মিতালী ফারজান মিশু একজন হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী হয়, সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা,গত রবিবারে আমার মেয়ে স্কুলে আসার পথে বশির আহমেদের ছেলে খায়রুল আমিনসহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি তাকে
দরগাহ প্রি ক্যাডেট এর স্কুল এর সামনে থেকে জোরপূর্বক ভাবে একটি টমটম গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়,কিন্তু আমরা তাকে এখনো পায়নি,আমরা এই বিষয় নিয়ে একটি টেকনাফ থানায় অভিযোগ করেছি,এই মুহুর্তে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, যেন আমাদের মেয়েকে আবারো ফেরত পায়,এবং সামনে তার পরীক্ষায় যেন অংশগ্রহণ করতে পারে।

এই বিষয় নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, ঘটনাটি সত্য আলম সাহেব এর দুইটি মেয়ে রয়েছে, তার মধ্যে ছোট মেয়েটি ক্লাস দশম শ্রেণীর ছাত্রী হয়,তাকে জোরপূর্বভাবে উঠে নিয়ে যায় ও রোহিঙ্গা খাইরুল নামে ব্যক্তি এখনো তাদেরকে খোঁজ পায়নি,তবে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ এর ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিম জানান, ঘটনাটি আমার ওয়ার্ডে আমার এলাকায় হয়েছে,তবে তারা দুজনে ছাত্রছাত্রী একজনের বয়স (১৬)আরেক জনের বয়স(১৮)তবে তাদের বিয়ের বয়স এখনো হয়নি,তাই তাদের পরিবার চেষ্টা করতেছে তাদেরকে প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরত এনে আবারো পড়াশোনা সুযোগ দেওয়া হয়।

এই বিষয় নিয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল হালিম জানান, আমাদের কাছে এখনো কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি, যদি বা লিখিত অভিযোগ আসে আমরা সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে [sharethis-inline-buttons]

Check Also

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাপান প্রবাসী পলাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত …

error: Content is protected !!