আগামীকাল প্রভাতের আলোর সাথে শুরু হবে ভাষার মাস ও বাংলাসাহিত্যের প্রাণের মাস ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারি জুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে বইমেলা-২০১৯। মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানবইমেলাকে বলাহয় বাঙালির প্রাণের মেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ পুরো বইমেলায় সকল স্তরের মানুষের আগমনে হয়ে ওঠে সরগরম। বলতে গেলে আমাদের লেখকেরা বইমেলাকে উপলক্ষ করেই বই বের করে থাকেন। তেমনই দুজন উদীয়মান ঢাবির দুই তরুণ লেখক তাজওয়ার রিজন ও নিলয় সাঈদ।
তাজওয়ার রিজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। এটা তার ২য় কাব্যগ্রন্থ। বইয়ে আরো একজন কবির কবিতা আছে। উনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পড়েন। গত বইমেলায় তাদের দুজনের একটি বই বেরিয়েছিল “কবিতা কিংবা মধ্যরাতের প্রলাপ”নামে। বইটি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছিলো। এবারও সেই দুজন মিলেই নতুন চিন্তা চেতনা নিয়ে দ্বিতীয় বইটা করেন।
তাজওয়ার রিজন, ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়। সে বছর কবিতা লিখেই নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান। প্রথম কবিতার বই ” কবিতা কিংবা মধ্যরাতের প্রলাপ” এবারের মেলায় আসছে কবি, তাজওয়ার রিজন এর ‘চাঁদেরও কিছু বিষাদ ছিলো’
কবি ও লেখক তাজওয়ার রিজন বলেন,
“২৫শে এপ্রিল সকাল বেলায় উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে আমার জন্ম। সালটা ছিলো ১৯৯৬। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি মেঝো। কুড়িগ্রামেই আমার বেড়ে ওঠা। বড় ভাই টুকটাক কবিতা লিখতেন৷ মাঝে মধ্যে তার লেখা বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ছাপতো৷ সেখান থেকেই মূলত আমার লেখালেখির প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই লিখতাম। স্কুল কলেজে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে আমার লেখা ছাপা হয়েছে। এরপর কুড়িগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এলাম৷ ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আমার প্রথম কবিতার বই ” কবিতা কিংবা মধ্যরাতের প্রলাপ” প্রকাশিত হয়। আমার বাবার নাম মোঃ হাবিবুর রহমান এবং মায়ের নাম মোছাঃ নাসিমা খাতুন। পড়েছি কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম সরকরি কলেজে। বর্তমানে পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে৷ এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে মাঝেমধ্যে লিখছি৷ আমার কাছে কবিতা হলো শান্তির পরশ পাথরের মতোন। কবিতা লিখে শান্তি পাই, আনন্দ পাই। যে কথাগুলো সচরাচর বলতে পারিনা তা কবিতায় প্রকাশ করতে পারি৷ মনের ভেতর যখন শব্দগুলো ঘুরপাক খায় তখন না লিখলে অস্থির লাগে। এই অস্থিরতা যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত লিখে যেতে চাই।”
বইয়ে আরো একজন কবির কবিতা আছে, নিলয় সাঈদ। তিনি বলেন,
“আমি কবি নই। কবিতা আমার কাছে এক স্বপ্নের নাম। স্বপ্নকে কাগজে ফুটিয়ে তোলার মধ্যে একধনের অনন্য আনন্দ আছে, এই আনন্দ অনুভব করতে পারি বলেই কবিতা লিখি। কবিতা লিখলেই নিজেকে কবি বলা যায় না। সেই আস্পর্ধা আমার নেই। তবে আমার কবিতাগুলো যে যথেষ্টই কবিতা, সে ব্যাপারে স্বীকৃতি দিতে পারি। কবিতাগুলোকে অ-কবিতা কিংবা শুধুই শব্দগুচ্ছ বললে তাদের অসম্মান করা হবে।
আমার পরিচয় বলতে গেলে আমি সবার মতই মানুষ। এর বাইরে কিছু না। কবিতা লিখা হলেই তাদেরকে পাঠকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা কর্তব্যের মত হয়ে যায়। সেই কর্তব্যের বোঝা নামাতেই কবিতাগুলোকে প্রকাশ করি, বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় কিংবা লিটল ম্যাগে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করেছি যথাক্রমে ধানমণ্ডি গভঃ বয়েজ হাইস্কুল এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ভর্তি হয়েছি। আগেই বলেছি আমি কবি নই। আমার কবিত্ব বিচারের দায়িত্ব পাঠকের।”
বইটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে প্রকাশনা জগতের অন্যতম বড় নাম ‘এক রঙ্গা এক ঘুড়ি’
“চাঁদেরও কিছু বিষাদ ছিলো” বইটি
পাওয়া যাবে, স্টল নং- ৪৩৪, সালাম চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কাব্যগ্রন্থটিতে
কিছু চমক থাকার কথা জানিয়েছেন লেখকরা নিজেই । তবে তাতে কি থাকছে সে ব্যাপারে আগাম কিছু বলেন নি তারা। মেলায় এসে রহস্য উন্মোচনের জন্য পাঠকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।