আজিজ উল্লাহ, উপকূলীয় প্রতিনিধি:
টেকনাফের বাহারছড়া মাথাভাঙা সামান্য পাহাড়ের ভেতর নিজস্ব পানেরবরজে কাজ করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের হাতে অপহৃতের দীর্ঘ পাঁচ দিন পর ২লাখ টাকা মুক্তিপণ প্রদান করে জিম্মি দশা থেকে পরিবারের কাছে ফিরছে বৃদ্ধ কৃষক মো. সোনালী(৫০)। সেই স্থানীয় মাথাভাঙা এলাকার মৃত নাজির হোসেন ছেলে। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার শরীরের লাথি ঘুষির প্রচন্ড আঘাত রয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বড়ডেইল বন অফিস হয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসেন অপহৃত বৃদ্ধ। এসময় ডাকাতদের দাবিকৃত ২লাখ টাকা মুক্তিপণের টাকা সরাসরি হাতে বুঝিয়ে দিয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। ভয় ও ঝুঁকি নিয়ে বৃদ্ধের এক আত্মীয় গহীন পাহাড়ে ভেতর থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে আসেন।
ফিরে আসা ভিকটিম সোনালী জানান,পাহাড়ের পাদদেশে এসে কয়েকজনের সশস্ত্র ডাকাত দল তাকে পানের বরজে ঢুকে টেনেহিঁচড়ে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণের জন্য পরিবারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে মোবাইল বললে মোবাইল নং মুখস্থ না থাকায় অমানুষিক নির্যাতন করে।ডাকাত দল পরে তার বিভিন্ন আত্মীয়দের নাম জিজ্ঞেস করে বৃদ্ধের এক আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় মুক্তিপণ চক্র গোষ্ঠী।
৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, আজ বৃদ্ধ মো. সোনালী কাল আরেকজন এভাবেই চলতে থাকলে জননিরাপত্তা কে দিবে বলে প্রশ্ন করেন। এভাবেই চলতে থাকলে কয়েক দিন পর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাবে তারা। এসব অপরাধ নির্মূলে প্রশাসনের তৎপরতা ও কঠিন অভিযান দরকার বলে জানান এই ইউপি সদস্য। এছাড়া প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তাও কামনা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ভিকটিমের পরিবার বাড়িঘর জমিজমা বন্ধক রেখে ২লাখ টাকা জোগাড় করছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বেও বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গতকাল একই ইউপির ৯নং ওয়ার্ড থেকে স্থানীয় আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল হাসেম নামের একজনকে বাড়ি থেকে প্রস্রাব করতে বের হলে ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা পর ৪লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন পরিবার।